শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন

ফরিদপুরে পৃথক ঘটনায় প্রশিক্ষিত অপরাধী চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার

ফরিদপুর প্রতিনিধি:: ব্যাংক কিংবা পোস্ট অফিসে টাকা তুলতে আসা বয়স্ক লোকদের টার্গেট করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো ওরা। ১৭ বছর ধরে এভাবে অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসা এমন একটি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের নিকট হতে উদ্ধার করা হয়েছে ১৩ লাখ টাকা। চক্রের অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) জামাল পাশা।

গ্রেফতারকৃত ওই দু’জন হলেন, খুলনার হরিণটানা থানার গোলাডাঙ্গা গ্রামের মৃত ফটিক শেখের ছেলে ফারুক শেখ (৬০) ও মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার পূর্ব কোলা গ্রামের মো. জৈনদ্দিন ওরফে জিয়াউদ্দিনের ছেলে মো. আলী (৪৫)।

জামাল পাশা জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের প্রধান পোষ্ট অফিসে পেনশনের সঞ্চিত ২০ লাখ টাকা তুলতে গেলে তাকে টার্গেট করে এই চক্র। এরপর পাশেই সোনালী ব্যাংকে জমা দিতে গেলে এক ফাঁকে মাত্র এক মিনিটের মধ্যে তার টাকা ভর্তি একটি ব্যাগ চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করার পর সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষন করে তাদের সন্ধান মিলে। চক্রের দুই সদস্য এখনো পলাতক রয়েছে।

এছাড়া ফরিদপুরের কানাইপুরে জনৈক তরিকুল ইসলামের মোবাইল শোরুম হতে ১৬ লাখ টাকা মূল্যের পঞ্চাশটি স্মার্টফোন ও নগদ টাকা চুরির ঘটনায় পুলিশ ঢাকার ড্যান্ডি সুমন বাহিনীর দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলো, কুমিল্লার মুরাদনগরের কামেল্লা গ্রামের খালেক মিয়ার ছেলে আমীর হোসেন (৩০) ও ব্রাক্ষণপাড়া থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের আবুল হাশেম ওরফে হাশির ছেলে সজিব ওরফে শামীম।

সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সুমর রঞ্জন কর বলেন, এরা খুবই স্মার্ট চোর। নিজেদের পরিচয় গোপনের জন্য এরা নিজেদের এনআইডিও করেনি। গুলিস্থানের ডান্ডি সুমন বাহিনীর এই চক্রে লিটন, সেলিম, রুবেলসহ আরো ১২ থেকে ১৪ জন রয়েছে। এই চক্রের সদস্যরা গুলিস্থানে পকেট মারাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরেফিরে চুরি করতো। সুমর রঞ্জন কর জানান, প্রথম জীবনে এরা গুলিস্থান, ঢাকায় পকেট মারাসহ ব্লেড দিয়ে ব্যাগ কেটে টাকা চুরি করতো। সেখান থেকে এরা সংঘবদ্ধ হয়।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com